গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের প্রচারণা

Jahangir Alam babu    |    ১০:৩৫ এএম, ২০২০-০৬-০২


গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের প্রচারণা

জাহাঙ্গীর আলম বাবু: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল সোমবার থেকে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সীমিত আকারে গণপরিবহণ চালুর ক্ষেত্রে পুলিশের পরিসীমার ভেতর যা পড়েছে সেটাই দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী নৌযান এবং ট্রেনও চলাচল ইতি মধ্যে শুরু হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ঠিক করে দেবে। গণপরিবহন চালালে তো ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গত ৩০ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের  সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বিপিএম,পিপিএম এর সভাপতিত্বে পরিবহনের সকল স্টকহোল্ডারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ  কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম(বার), পিপিএম (বার), ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার শহীদুল্লাহ্ পিপিএম, বন্দর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মহানগরী সিটিবাস, হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়ন, অটোরিকশা অটোটেম্পো মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

উক্ত সভায় করোনা মহামারী প্রতিরোধ কল্পে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এক মত পোষণ  করেন। 

এদিকে সোমবার থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সচেতনতা মূলক ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন, চালক- শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ, গণ পরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্তে স্টিকার লাগানো সহ মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সকালে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক)  এস এম মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় আর ও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ্,   অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ওয়াহিদুল হক চৌধুরী ও নাজমুল হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান , সুলতান মাহমুদ খান, টিআই প্রশাসন মহিউদ্দিন খান, টিআই জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গণপরিবহন চালানোর অপরাধে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ গতকাল ১১৯ টি যানবাহনকে মামলা প্রদান করেন। একই সাথে ৩৬ টি গাড়ী আটক ও ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) মো. সোহেল রানা জানান, ‘সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের সুযোগ রেখে সরকার একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করেছেন, এ প্রজ্ঞাপণে জনস্বার্থে কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টসহ দায়িত্বের পরিসীমায় পড়ে এসব বিষয় বাংলাদেশ পুলিশ বরাবরের মতোই পালন করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।’ বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষ সরকারের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না। পাশপাশি সী‌মিত প‌রিস‌রে গণপ‌রিবহন চালুর ক্ষে‌ত্রে ক‌রোনা সুরক্ষায় ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্র‌নে বাংলা‌দেশ পু‌লি‌শের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।